রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন
ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে রাজধানীর কোতয়ালী থানার ওসিসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন কোতোয়ালী থানার ওসি মিজানুর রহমান, এসআই পবিত্র সরকার, খালেদ শেখ ও মো. শাহিনুর, কনস্টেবল মিজান এবং সোর্স মোতালেব।
জানতে চাইলে মামলার বাদী মো. সোহেল বলেন, ঈদের পরদিন ২ আগস্ট বিকালে বুড়িগঙ্গা নদী পার হয়ে কোতয়ালী থানার ওয়াইজঘাট এলাকা দিয়ে বসুন্ধরা মেয়ের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হই। পথে পুলিশ আমাকে ঘেরাও করে তল্লাশি করে। তারা তল্লাশি করে কিছুই না পেয়ে পকেটে থাকা দুই হাজার ৯০০ টাকা নিয়ে নেয়। এরপর আমাকে চলে যেতে বলে। আমি টাকা ফেরত চাইলে তারা আমাকে মারধর করে। এসব দেখে লোক সমাগম বাড়তে থাকে। লোকজন কী হয়েছে জানতে চাইলে কনস্টেবল মিজান ও সোর্স মোতালেবের পকেট থেকে দুই প্যাকেট ইয়াবা দিয়ে বলে যে আমার কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে। এরপর তারা (আসামিরা) আমাকে থানায় নিয়ে যায় এবং পরিবারের সদস্যদের খবর দিতে বলে। পরিবারের সদস্যরা সেখানে গেলে থানার ওসি পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। চাহিদামতো টাকা না দিলে আমাকে ক্রসফায়ার দিবে বলে পরিবারকে হুমকি দেয়। ওই রাতেই পরিবারের সদস্যরা দুই লাখ টাকা এসআই পবিত্র সরকার, খালেদ শেখ ও মো. শাহিনুরের কাছে দেয়। এরপর ওসি বলে, বাকি টাকা সকালে দিতে। নইলে ক্রসফায়ারের ভয় দেখায়। ওসির টাকা চাওয়া সংক্রান্ত অডিও রেকর্ডও আমার (বাদী) কাছে সংরক্ষিত আছে। এরপর সকালে আরও দেড় লাখ টাকা তাদের দেয়া হয়।
টাকা দেয়ার পর সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, মিটফোর্ড হাসপাতালের ভেতরে তিনি মাদক সেবন করছিলেন এবং শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করছিলেন। তার বিরুদ্ধে নন এফআইআর করে পুলিশ। আবার আসামিরাই তাকে জামিন করিয়ে আনেন। পরে সোহেল আদালতে এসে মামলাটি করেন। দণ্ডবিধি ৪২০/৪০৬/৫০৬/১০৯/৩৪/৩৮৫/৩৮৬/৩৪৭ ধারাসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(১)(ক)(খ) ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।